বাংলাদেশে হাসপাতাল নির্মাণ করতে যাচ্ছে চীন। হাসপাতালের নাম ‘চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ জেনারেল হাসপাতাল’ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। হাসপাতালের জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগে জমি দেখা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য চাঁদপুর জেলাকে নির্বাচন করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রস্তাব জানিয়ে নেটিজেনরা পোস্ট করছে।
চাঁদপুর-শরীয়তপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত করা হলে চাঁদপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, মুন্সিগঞ্জ, ফেনী জেলার পাশাপাশি শরীয়তপুর, মাদারীপুর জেলার মানুষ সরাসরি স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে উপকৃত হতে পারবে। এছাড়াও বরিশাল, ভোলা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার মানুষও চাঁদপুর থেকে আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করতে সক্ষম হবে। অর্থাৎ, এগারোটি জেলার প্রায় এক কোটি মানুষ তাদের আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখা শহীদ নূর হোসেনের প্রতিচ্ছবি, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি জিএম রাসেদ তার ফেসবুক পোস্টে জানয়, ‘চাঁদপুর ভৌগোলিকভাবে একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র হওয়ার আদর্শ স্থান। চাঁদপুর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। যেখান থেকে নদীপথ, সড়কপথ ও রেলপথে দেশের বহু জেলার সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করা যায়। এটি দেশের অন্যতম নদীবন্দরও। যদি চাঁদপুরে চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপন করা হয়, তাহলে সরাসরি উপকৃত হবে অন্তত ৭টি জেলা এবং পরোক্ষভাবে আরও ২-৩টি জেলা।’
চাঁদপুরে পর্যাপ্ত আধুনিক ও বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবার অভাবে উপযুক্ত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অসংখ্য নাগরিক। উন্নত চিকিৎসার জন্য পাড়ি জমাতে হয় ঢাকায়। যা অনেক ব্যয়বহুল হাওয়ায় সম্ভব হয়ে ওঠে না অনেক ক্ষেত্রেই।
বিশেষজ্ঞগণ ধারণা করছে, চাঁদপুরে চায়না বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা সম্ভব হলে, হাসপাতালকে ঘিরে চাঁদপুর হয়ে উঠবে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চিকিৎসা ও উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু। সেই সাথে চাঁদপুরের পর্যটন শিল্প আরো জনপ্রিয়তা অর্জন করবে এবং অর্থনৈতিকভাবে চাঁদপুর হবে আরও সমৃদ্ধশালী।