আজ ১৮ এপ্রিল, বাংলাদেশের সীমান্ত ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল দিন—বড়ইবাড়ি বিজয় দিবস। ২০০১ সালের এই দিনে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার বড়ইবাড়ি সীমান্তে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে এক ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। এ সংঘর্ষে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের ১৬ জন সদস্য নিহত হয়, যা ছিল এক অবিস্মরণীয় প্রতিরোধের ফল। বাংলাদেশের পক্ষে ৩ জন বীর বিডিআর সদস্য শহিদ হন।
এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় যখন ভারতীয় বিএসএফ বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করে এবং আগ্রাসী মনোভাব দেখায়। বাংলাদেশের বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সীমান্তের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সাহসিকতার সঙ্গে তাদের প্রতিরোধ করে। সংঘর্ষের তীব্রতায় ভারতীয় বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং এ ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে ভারতের আগ্রাসী মনোভাবের নিন্দা হয়।
বড়ইবাড়ির শহিদ তিন বীর হলেন:
. নায়েক আব্দুর রহিম
. ল্যান্স নায়েক আব্দুস আজিজ
. সৈনিক আব্দুস সালাম
এদের আত্মত্যাগে প্রমাণ হয়—বাংলাদেশ কখনো নিজের সীমান্ত ও মর্যাদার প্রশ্নে মাথা নত করে না।
যদিও বড়ইবাড়ি বিজয় দিবস একটি বীরত্বগাথা, দুঃখজনকভাবে এটি এখনো জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি পায়নি। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক এবং সাধারণ মানুষ মনে করেন, এই দিনটিকে সরকারি স্বীকৃতি দিয়ে প্রতি বছর রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করা উচিত।
আজ এই দিনে আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি আমাদের শহিদ বীরদের, যাঁদের রক্তে রচিত হয়েছিল সাহসিকতার এই গাথা। বড়ইবাড়ির বিজয় আমাদের অনুপ্রেরণা—একটি স্বাধীন দেশের সম্মান রক্ষার প্রেরণা।
—