চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অঞ্জন(২২) বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদপুর শহরের মঠখোলা চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সামনে বোগদাদ বাস থেকে নামার সময় পড়ে গিয়ে চাঁদপুর-কুমিল্লা যাত্রীবাহী বোগদাদ বাস থেকে নামার সময় সে আহত হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, অঞ্জন গাড়ি থেকে নামার সময় পড়ে যায়। এরপর বোগদাদ বাসের অসতর্কতায় তাঁকে খেয়াল না করেই দ্রুত চালিয়ে যাওয়ার সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। পরে স্থানীয়রাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার পায়ের হাড় ভেঙে মারাত্মকভাবে সে আহত হয়ছে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।চিকিৎসকরা জানান, অঞ্জনের পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করলে স্থানীয়রা ও শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে বোগদাদের সকল বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। ঐ শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সকল খরচ বহনসহ একটি সুষ্ঠ সমাধান করার চেষ্টা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, কিছুদিন পর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ঘটছে মারাত্মক দূর্ঘটনা। এতে শিক্ষার্থীদের জীবনমান হুমকির মুখে। কারণ হিসেবে তারা বলেন, এখানে আমাদের দীর্ঘদিনের একটি দাবি ছিল স্পীড ব্রেকার জন্য।কিন্তু সড়ক ও জনপথের গাফিলতির কারণে এখনো হয়নি সেটি। কিছুদিন আগেও ঘটেছে এই রকমই একটি দূর্ঘটনা। শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছি এখানে একটি স্পীড ব্রেকার দেওয়ার জন্য ,কিন্তু কেউ টনক নড়ছে না।
বোগদাদ বাস আটকানোর কারণ হিসেবে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করে, দুর্ঘটনা ঘটিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা। ভিকটিমের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোন পদক্ষেপ না নেওয়া। ভিকটিমের বিষয়ে বাস কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হলেও তাদের কোন ভূমিকা ছিল না এবং ভিকটিমের খোঁজখবর ও চিকিৎসা বিষয়ক কোন কথা বলেনি কর্তৃপক্ষ। ইতিপূর্বেও চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কে বোগদাদ বাসের বেপরোয়া চলাচল বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার কারণ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া প্রচলন থাকলেও শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়।
আহত শিক্ষার্থী অঞ্জন এখন ভালো আছে এবং বাসায় অবস্থান করছে। তার প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে ও চিকিৎসকদের তদারকিতে রয়েছে বলে মুঠোফোন কলে নিশ্চিত করেছে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী হাবিব।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা অঞ্জনের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন।