রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে পর্যাপ্ত শৌচাগার না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। এমনকি যে শৌচাগারগুলো রয়েছে সেগুলোতেও নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান, টিস্যুর মতো স্বাস্থ্যসুরক্ষার মৌলিক সরঞ্জামাদি। এ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সরজমিনে দর্শন বিভাগের শৌচাগার পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ছেলে এবং মেয়ে উভয়কেই একটি শৌচাগার ব্যবহার করতে হয়। এমনকি
শৌচাগারে নেই পর্যাপ্ত পানি ও বেসিনের সুবিধা। রাশট্রবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের শৌচাগারগুলোতেও প্রচুর দুর্গন্ধ আর নোংরা পরিবেশ
এ বিষয়ে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সাওদা বলেন, আমাদের কলেজের অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে পরিচ্ছন্ন শৌচাগারের অভাব। একজন মেয়ে হিসেবে আমার ব্যাপক অসুবিধা হয়। কলেজের শৌচাগার গুলোর এতোটাই খারাপ অবস্থা যে, আমি যতবার ব্যবহার করেছি অসুস্থ হয়ে পড়েছি। এখানে সাবান,স্যানিটাইজার এবং বেসিনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও আমাদের দর্শন বিভাগে ছেলে এবং মেয়ে উভয়কেই একই শৌচাগার ব্যবহার করতে হয়। এটি আমাদের মেয়েদের জন্য বড় একটি সমস্যা। দ্রুত স্বাস্থ্যকর শৌচাগার নিশ্চিত করার জন্য আমি কলেজ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম বলেন, বর্তমানে তিতুমীর কলেজের টয়লেটগুলোর এতটাই বাজে অবস্থা যে সেখানে প্রবেশ করাও কষ্টকর। প্রচুর দুর্গন্ধ আর নোংরা একটা পরিবেশ। এত অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে স্বাভাবিক মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়বে।
সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ বলেন, আমি সরকারি তিতুমীর কলেজের একজন সাধারণ শিক্ষার্থী। প্রতিদিন ক্লাসে আসি এবং একটা মৌলিক সমস্যার মুখোমুখি হই—সেটা হলো পর্যাপ্ত ও স্বাস্থ্যকর শৌচাগারের অভাব।কলেজে হাজার হাজার শিক্ষার্থী, কিন্তু তার তুলনায় শৌচাগার খুবই কম। যেগুলো আছে, তার বেশিরভাগই অপরিচ্ছন্ন, অনেক সময় পানি থাকে না, দরজা নষ্ট, দুর্গন্ধে দাঁড়ানো যায় না।আমি চাই, আমাদের কলেজ যেন এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়। শিক্ষার্থীদের জন্য পরিষ্কার, নিরাপদ ও পর্যাপ্ত শৌচাগার থাকা উচিত। এটি শুধু স্বাস্থ্যের জন্য নয়, শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করতেও খুবই প্রয়োজন।
এ বিষয়ে কলেজটির অধ্যক্ষ ড. ছদরুদ্দীন আহমদ জানান, তিনি এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না। বিষয়টি তিনি দেখবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।