মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গাজার আল-তুফাহ এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ফাতিমা হাসৌনা। এই হামলায় ফাতিমার পরিবারের আরও অন্তত ১০ জন সদস্য প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও ছিলেন।
ফাতিমা পেশাগত জীবনে একজন ফটোসাংবাদিক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে গাজার চলমান সংকট ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তুলে ধরছিলেন। স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, হামলার সময় তিনি নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষিপ্ত বোমায় মুহূর্তেই ধসে পড়ে বাড়িটি।
স্থানীয় উদ্ধারকারী দল জানায়, ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়, বাকিরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৩ জন।
এই হামলার দিন গাজার অন্যান্য অংশেও ইসরায়েলি অভিযান চলে, যেখানে নিহত হন আরও অন্তত ৩০ জন বেসামরিক মানুষ। এই হামলাগুলোর লক্ষ্য ছিল আবাসিক ভবন, শরণার্থী শিবির এবং তথাকথিত ‘নিরাপদ এলাকা’—যেগুলো আগে ইসরায়েলের পক্ষ থেকেই নিরাপদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
সাংবাদিকদের উপর এই ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এর মাত্র ক’দিন আগে, ৭ এপ্রিল, খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে ড্রোন হামলায় নিহত হন আরেক সাংবাদিক হেলমি আল-ফাকাওয়ি।
ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, চলমান সংঘাতে এ পর্যন্ত বহু সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, যা সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও গণমাধ্যম স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
হাসিনা চলে গেলেন কিন্তু প্রশ্ন রেখে গেলেন বিশ্ববাসীর কাছে – কবে থামবে এই রক্তপাত??