খাগড়াছড়িতে বিঝু উৎসব শেষে ফেরার পথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থী অপহৃত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইউপিডিএফকে দায়ী করা হলেও সংগঠনটি তা অস্বীকার করেছে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টায় সদর উপজেলার গিরিফুল এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয় বলে জানা গেছে।বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল। তিনি বলেন, বুধবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার গিরিফুল এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের অপহরণ করা হয়। তারা মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহৃতদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন এবং পাহাড়ি আঞ্চলিক কোনও সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অপহরণের শিকার হওয়াদের মধ্যে রিশান চাকমা, যিনি পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী। অন্যরা হলেন: মৈত্রীময় চাকমা (চারুকলা বিভাগ), দিব্যি চাকমা (নাট্যকলা বিভাগ), লংঙি ম্রো (প্রাণিবিদ্যা বিভাগ), এবং অলড্রিন ত্রিপুরা (চারুকলা বিভাগ) রয়েছেন। তারা সবাই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের বহনকারী টমটম চালকও অপহৃত হয়েছেন, তবে তার পরিচয় এখনও জানা যায়নিপিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুণ ত্রিপুরা জানান, শিক্ষার্থীরা গতকাল বাঘাইছড়িতে বিজু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি হয়ে চট্টগ্রামে ফিরছিলেন। কিন্তু বাসের টিকেট না পাওয়ায় তারা কুকিছড়া এলাকায় মৈত্রীময় চাকমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত কাটান। সেখান থেকে বুধবার সকালে তাদের চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গিরিফুল এলাকা থেকে তাদের জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এ সময় টমটম চালককেও অপহরণ করা হয়। পিসিপি দাবি করেছে, ইউপিডিএফ (প্রসীত) এর হাত রয়েছে এই ঘটনার পিছনে।
তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা। তিনি বলেন, ‘অপহরণের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এই ধরনের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি আমরা করি না। আমরা সবসময় ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের পক্ষে। কোনো মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের উপর দায় চাপাচ্ছে।’।